বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা এবং আমাদের করণীয়: পর্ব—৪
গণতন্ত্র কি?
রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণতন্ত্র হলো এমন একটি দর্শন, যেখানে বিশ্বাস করা হয় রাষ্ট্রের যাবতীয় ক্ষমতা জনগণের হাতে। সংক্ষেপে বলা যায়—জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখতে পাই রাষ্ট্রের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করেন। জনগণকে ক্ষমতার উৎস বলা হলেও তাদের মতামত প্রায়শই গুরুত্ব পায় না।
ধর্ম
রাষ্ট্রের সকল মানুষকে সমান অধিকার দিতে হবে। বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ অনেক ধর্মের লোকজন বসবাস করে। সবাই যেন তাদের ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারে, সেটাই নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধর্মকে নিয়ে কুৎসা, অবমাননা কিংবা মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাংলাদেশের প্রধান ধর্মসমূহ
১। ইসলাম
ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত:
- একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ইবাদতের যোগ্য এবং মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর শেষ রসূল।
- নামাজ কায়েম করা।
- রমজান মাসে রোজা রাখা।
- যাকাত প্রদান করা।
- সামর্থ্য থাকলে হজ্জ করা।
ইসলামের মূল বিষয় হলো আত্মশুদ্ধি অর্জন করা। এর পাশাপাশি দুনিয়ার কষ্ট দূর করা, ক্ষুধার্তকে আহার দেওয়া, আত্মাকে জাগ্রত করা—এসবই ইসলামকে পূর্ণতা দেয়।
২। সনাতন ধর্ম (হিন্দু ধর্ম)
হিন্দু ধর্মে ভগবানকে প্রধান সৃষ্টিকর্তা ধরা হয়। এছাড়া বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা চলে আসছে। তাদের ধর্মীয় বৈশিষ্ট্যের মধ্যে—
- বারো মাসে তেরোটি পূজা অনুষ্ঠান পালন।
- সতীদাহ প্রথা আগে ছিল, বর্তমানে বিলুপ্ত।
- মাটির মূর্তি পূজা।
- জাত ও বর্ণভেদ প্রথা এখনো প্রচলিত।
৩। নাস্তিকতা
নাস্তিকদের বড় একটি অংশ চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ অনুসরণ করে। তারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব মানে না এবং বিশ্বাস করে বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে।
আধুনিক নাস্তিকদের বৈশিষ্ট্য:
- সৃষ্টিকর্তার অস্বীকার।
- ভোগ-বিলাসে লিপ্ত জীবনযাপন।
- আত্মাকে অস্বীকার করা।
প্রাচীন নাস্তিকদের বৈশিষ্ট্য:
- মানুষকে অটোমেটিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাস।
- খাওয়া ও আনন্দে সীমাবদ্ধ জীবন।
- বিশ্বাসীদের বিদ্রূপ করা।
সমাপ্তি: এই পর্বটা একটু বড় হয়ে গেল। দেখা হবে ইনশাআল্লাহ আগামী শুভ সময়ে। ততদিন ভালো থাকুন, সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।
No comments:
Post a Comment